আপেলের গুনাগুন
ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে “Eat an apple everyday, keep doctors away" অর্থাৎ প্রতিদিন একটি করে আপেল খান আর ডাক্তারে কে দূরে রাখুন। সত্যি আপেল খেলে ডাক্তারের প্রয়োজনীয়তা অনেকাংশে কমে যাবে। কিন্তু কি আছে আপেলে? যার জন্য আপেল এত গুরুত্বপূর্ণ!
আপেল খুব উপকারী কারণ এটি রোগ প্রতিরোধক ও পুষ্টিকর একটি ফল যা সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। আপেলে আছে শর্করা, ভিটামিন, খনিজ লবণ, আঁশ, পেকটিন ও ম্যালিক এসিড। এতে শর্করা ৫০%। ভিটামিনের মধ্যে আছে ভিটামিন-এ এবং ভিটামিন-সি এবং এগুলোর উপস্থিতি আপেলের খোসায় ও খোসার সাথে লাগানো মাংসল অংশেই বেশি। আপেলের খোসায় আপেলের মাংসল অংশের চেয়ে বেশি ভিটামিন এ আছে। খনিজ লবণের মধ্যে আছে প্রচুর পটাশিয়াম, ফসফরাস ও লৌহ। সোডিয়ামের পরিমান খুবই সাামান্য।
আমাদের শরীরের শর্করা শক্তির বড় উৎস হতে পারে আপেল। শর্করা আমাদের খাদ্যনালীতে ধীরে ধীরে ভেঙে হজম হয় বলে শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল থাকে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আপেল অসুবিদার কিছু নয়। ভিটামিন-এ ও ভিটামিন-সি শরীরের জন্য খুব উপকারী, দুটিই এন্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের কোষ গুলোর রক্ষাকবচ। স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তির জন্য ভিটামিন-এ দরকার। ত্বক মসৃণ রাখতেও ভিটামিন-এ দরকার। দাঁতের মাড়ির জন্য ভিটামিন-সি দরকার। ভিটামিন-সি এর প্রয়োজনীয়তা আরো অনেক জায়গায় যেমন কোলাজেন তৈরিতে, ক্ষত শুকাতে, খাদ্যণালী থেকে লৌহ শোষন করতে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, এমন কি পাকস্থলীর ক্যান্সার প্রতিরোধ করতেও। আপেলের খোসায় আছে কোয়ার্সিটিন নামে একপ্রকার এন্টি-অক্সিডেন্ট যা শরীরে প্রতিনিয়ত তৈরি হওয়া ফ্রি রেডিক্যাল দূর করে।কোয়র্সিটিন আলজেইমার্স ডিজিজ ও পারকিনসনিজম নামক অসুক প্রতিরোধেও সহায়ক। কোয়র্টিন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। কমিয়ে দেয় পাকস্থলি ও কোলন ক্যান্সারের সম্ভবনা। পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও আঁশ রক্তচাপ কমায়। হার্ট এ্যাটাকের ঝুকিও কমায় এটা। আপেলের লৌহ রক্তশূন্যতায় উপকারী। পেকটিন আঁশ ক্ষতিকর কলেস্টেরল এলডিএল কমায়। হার্ট এ্যাটাক ও স্ট্রোক প্রতিরোধ করে। কোষ্ঠ-কাঠিন্য দূর করে। কোলন ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা কমায়। আপেলের ম্যালিক এসিড শরীরের ইউরিক এসিড কে নিস্ক্রিয় করে বাতের ব্যথা দূর করতে পারে। তাই আপেল বাতের ব্যাথায়ও উপকারী।
তবে আপেল খেতে হবে ভালভাবে চিবিয়ে। তাহলেই হজম শেষে এর সকল উপাদান শরীর নিতে পারবে। কারণ ভালভাবে না চিবিয়ে টুকরো টুকরো করে আপেল গিলে ফেললে সেই টুকরো গলাতে পাকস্থলীর প্রচুর বেগ পেতে হয়। এতে পেটে ব্যথা হতে পারে। আবার আপেল চিবিয়ে খেলে দাঁতও পরিষ্কার হয়, যা টুথ ব্রাশের কাজ করে। তবে খালি পেটে আপেল খাওয়া উচিৎ নয় কারণ তাতে আপেলে থাকা এসিডের কারণে বদ হজম হতে পারে।
খাওয়ার আগে আপেলটিকে ভাল করে ধুয়ে নিন।।।
ধন্যবাদ সংগে থাকার জন্য।
Tag :
নিজের জন্য জানুন
0 Komentar untuk "Eat an apple"