সত্য ও সময়ের সাথে চলব

Powered by Blogger.

গৃহীনির দৈনন্দিন সাংসারিক ২০১ টিপস্

গৃহীনির দৈনন্দিন সাংসারিক ২০১ টিপস্:
একজন মেয়ে বা একজন নারীকে প্রতিদিন সংসারে অনেক কিছু করতে হয়, অনেক কিছু সামলাতে হয় এবং সংসারের প্রায় পতিটি জিনিস নিজ হাতে গোছাতে হয়। সেজন্য তাদের জানতে হয় অনেক কিছু। আজকের এই পোষ্টটি নারীদের জন্য লিখলাম::
  1.  হীরের গয়নায় জেল্লা আনতে এক টুকরো চক হীরেরত ঘষে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন।
  2. সোনার গয়নাকে পরার আগে থেঁতো করা কাঁচা হলুদ বা হলুদগুড়ো দেয়া পানিতে সারা রাত ধরে ভিজিয়ে রেখে তুলে পরিষ্কার কাপড় বা তুলো দিয়ে ভালো করে মুছে নিন। উজ্জ্বলতা বাড়বে।
  3. দীর্ঘ দিন ব্যবহারের ফলে সোনার গয়নার উজ্জ্বলতা কমে গেলে ব্যবহার করার পর সিঁদুর মাখিয়ে রাখুন। কুমড়োর রস বা আমরুল শাকের রস দিয়ে সোনার গয়না সাফ করা যায়। এতে চকচক করবে গয়না।
  4. সোনা, রুপোর গয়নার গায়ে টুথপেস্ট ঘসে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। পানি দিবে না , এত গয়না খুব পরিষ্কার হবে।
  5. রিঠাফল ৮-১০ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে ঐ পানিতে সোনা, রুপোর গয়না ফেলে এক ঘন্টা পর নরম ব্রাশ দিয়ে আস্তে আস্তে ঘষলে চকচক করবে।
  6. রুপোর গয়না বা বাসনের উজ্জ্বলতা বাড়াতে তা রিটা দিয়ে কয়েক মিনিট ফুটিয়ে পরিষ্কার কাপড়ে ঘষুন।
  7. মেঝেতে চুইংগাম আটকে গেলে অল্প কেরাসিন তেল দিন। চুইংগাম সহজে তোলা যাবে।
  8. স্টীলের বাসন থেকে কোম্পানির নাম লেখা স্টিকার টি তুলতে হলে স্টিকার লাগানো অংশের উল্টোদিকটা গরম করে নিন।
  9. মেলামাইনের ক্রকারি থেকে দাগ তুলতে হলে ভিনেগারের সংগে একটু নুন মিশিয়ে ঘষে ধুয়ে নিন।
  10. ফ্রেমে ছবি রাখার আগে ছবির পিছন দিকে একটু ট্যালকম পাউডার লাগালে ছবি আটকে যাবে না।
  11. ছুরির ধার কেম গেলে তা পানিতে ভিজিয়ে পোর্সেলিন বা চায়নার প্লেটের উল্টো দিকে গোলের উপর, উপর থেকে নিচ পর্যন্ত ঘষে নিন।
  12. কাপড় কাটার মত করে বারবার কাচের টুকরা কাটার চেষ্টা করলে কাঁচিতে ধার হয়ে যাবে।
  13. পায়ে জুতা খুব খাটো হলে রাতে এক টৃুকরা আলু কেটে তার ভিতরে দিয়ে রাখলে সকালে দেখবেন যে আর অসুবিধা হচ্ছে না।
  14. কাঠের আসবাবে চেকনাই আনতে চাইলে একটু সরষে তেল দিয়ে এক টুকরো রেশম ভিজিয়ে আসবাব মুছে নিন। কাঠের আসবাবপত্র ঠান্ডা চা পাতা ফোটানো পানি দিয়ে পালিশ করলে তা ঝকঝকে হয়ে উঠবে।
  15. কাঠের ওপর থেকে ক্রেয়নের দাগ তুলতে হলে পাতলা কাপড়ে সিগারেটের ছাই বা কেরোসিন নিয়ে ঘষুন।
  16. চাল, সবজি ধোয় পানি ফেলে না দিয়ে গাছে দিন, গাছের উপকার হবে।
  17. চায়ের হাল্কা লিকার গাছের জন্য ভালো সার। ব্যবহৃত টি ব্যাগও টবে রাখা যায়।
  18. নিমপাতা পঁচা সার গাছে পোকা লাগতে দেয় না।
  19. নষ্ট দই না ফেলে কারিপাতার চাষ থাকলে তা গোড়ায় দিন। কারিপাতার তেজ, গন্ধ দুইই থাকবে।
  20. আস্ত ধনেতে পোকা ধরলে না ফেলে মাটিতে পুঁতে দিন । ধনে পাতার চাষ হয়ে যাবে।
  21. চোখ ভালো রাখতে মাঝেমাঝে হিংচে শাক খান। পেঁয়াজ মিশিয়ে হিংচে শাকের স্যুপ বানালে তা টনিকের কাজ করবে।
  22. সমপরিমান সরষের তেল ও কেরোসিন তেলের মিশ্রণ ম্যাসাজ করলে মাসল পেইন কমে যাবে।
  23. ম্যালেরিয় থেকে বাঁচতে হলে ১ মাস ২ চামচ চিনি ও মধু দিয়ে গুলঞ্চের রস খান।
  24. খুসখুসে কাশি হলে জিভের তলায় এক চিমটে নুন দিয়ে কিছু সময় শুয়ে থকলে কাশি সেরে যাবে।
  25. রাতে শোয়ার সময় নাবিতে অল্প সরিষার তেল দিয়ে ছোট এক টুকরো কাপড় ভিজিয়ে চার ভাজ করে নাভির ওপর রাখলে কাশি কিছুটা কমবে।
  26. রসুন, সরষের তেল গরম করে শিশুদের হাতে, পায়ে ম্যাসাজ করলে সর্দি কমে যাবে।
  27. গরম দুধে হলুদ গুড়ো দিয়ে খেলে সর্দি কাশির উপশম হবে।
  28. ১ কাপ পানিতে ২-৫ টা পুদিনা পাতা ফুটিয়ে পানিটা অর্ধেক হলে ১ চামচ মধু দিয়ে ঈষদুষ্ণ খেলে গলা ধরা, সর্দি- কাশি সেরে যাবে।
  29. বৃষ্টিতে ভিজলে সর্দি হওয়ার আশংকা থাকে। তার আগেই আদা, তেজপাতা চা দিয়ে বানিয়ে খেয়ে নিন।
  30. জিভে ঘা হলে পানিতে কর্পুর গুলে জিভ ধুয়ে নিন।
  31. ডায়রিয় হলে নিমিষে আরাম পেতে পেয়ারা পাতা চিবিয়ে খান।
  32. পাকা কালো জামের বীচি ও ডালিমের খোসা রোদে শুকিয়ে গুড়ো করে পাতলা করে ছেঁকে বোতলে ভরে রেখে দিন। পেটের অসুখ হলে পানিতে মিশিয়ে খাবেন।
  33. রোদে নিমফুল শুকিয়ে বোতলে রাখুন। খাওয়ার অরুচি হলে ভেজে অলুভাতের সাথে মেখে বা শুক্তো বানিয়ে খাবেন।
  34. ক্রিমি হলে রোজ সকালে নিমপাতার রস চিরতার পানি খান। উপকার হবে। যে কোন ওষুধ খাইয়ে ক্রিমি বের করে নিয়ে তারপর ৭ দিন সকালে খালি পেটে নুন সহযোগে একটা করে কলা খেলে আমৃতু ক্রিমি হবে না।
  35. চর্মরোগ হলে হলুদগুঁড়া , পেঁপের আঁঠা সম ভাগে নিয়ে মিশিয়ে গায়ে মাখুন।
  36. আঁচিল হলে লরি-বিশাখার পাতা নুন দিয়ে ঘষে আঁচিলে লাগালে তা নষ্ট হয়ে যায়। হিংচে শাক, চন্দন বাটার প্রলেপ বারবার লাগান । আঁচিল ভাল হয়ে যাবে।
  37. বোলতা হুল ফোটালে সংগে সংগে তুলসীপাতার রস লাগান, ব্যথা থাকবে না।
  38. বোলতা বা বিছে কামড়ালে ক্ষতস্থানের ওপর পেঁয়াজের রস লাগালে জ্বালা থাকবে না।
  39. গলায় মাছের কাঁটা বিধে গেলে কাাঁঠালী কলা খান, কাঁটা নেমে যাবে।
  40. কাঁচা মরিচ বেশি দনি রাখতে হলে বোটা ছাড়িয়ে রাখুৃন ।
  41. ঝুনো নারকেলের ভাঙা টুকরো নিয়ে নুনের পাত্রে রেখে দিলে নুন চার পাঁচদিন ভালো থাকবে।
  42. নারকেল কুরো নিয়ে সারা দিন কড়া রোদ খাইয়ে কাঁচের পাত্রে রেখে মুখ এঁটে দিন, কম করে হলেও এক মাস ভাল থাকবে।
  43. আপেলকে পানিতে ডুবিয়ে রাখার পর তুলে শুকনো কাপড়ে মোছার পর শুকনো কাপড়ে দু/চার ফোঁটা সরসের তেল মাখিয়ে আপেলকে চকচকে করে ঘষে নিলে তা অনেক দিন তাজা থাকবে।
  44. কাঁচকলা, লেবুকে রোজ একবার অন্তত ১ ঘন্টা করে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। বহুদিন তাজা থাকবে।
  45. পাতিলেবুকে দীর্ঘ দিন তাজা রাখতে হলে গায়ে নারকেল তেল মাখিয়ে ফ্রিজে রাখুন, তবে লেবুর কৌাটায় ঢাকা দেবেন না।
  46. আদা বেশিদিন রাখলে শুকিয়ে যায়। পানি ভরা পাত্রে আদা রেখে ফ্রিজে রেখে দিন, বহুদিন পর্যন্ত আদা তাজা থাকবে। বালির ভিতর আদা ডুবিয়ে রাখলে তা অনেক দিন তাজা থাকবে।
  47. গাজর, মুলো, বিটকে বেশী দিন তাজা রাখতে হলেএদের ওপর ও নীচ থেকে একটু করে অংশ বাদ দিয়ে পলিথিন ব্যাগে ভরে ফ্রিজে রাখুন।
  48. রসুনকে বেশি দিন তাজা রাখতে হলে ২ চামচ বরিক পাউডার রসুনের ওপর ছড়িয়ে মাটির পাত্রে রাখুর।
  49. উচ্ছে-করলাকে মাঝখান থেকে কেটে দুটুকরা করে রাখলে বহুদিন ভাল থাকবে। ফ্রিজে ধনে পাতা, পুদিনা পাতা পার্সলে পাতা রাখলে পানি দিয়ে রাখুন। তাজা থাকবে।
  50. লবনের পাত্রে একমুঠো চাল দিয়ে রাখলে লবন গলে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচবেন। বর্ষায়ও লবন ভাল থাকবে।
  51. ডিমের গায়ে গমের আটা গুলে প্রলেপ দিয়ে রাখলে তা বহুদিন ভাল থাকবে। ডিমকে পাতি লেবুর রস মেশানো পানি, চুনের পানি বা লবনের পানিতেও ডুবিয়ে রাখা যায়। তাতেও বেশ কিছুদিন ভাল থাকে।
  52. বেঁচে যাওয়া কাঁচা ডিমের কসুম ঠান্ডা পানিতে ডুবিয়ে রাখলে কয়েক দিন ভালো থাকে। ফ্রিজে রাখলে ভাল থাকে সাত দিন।
  53. সেদ্ধ ডিমকে ঠান্ডা পানির পাত্রে ডুবিয়ে রাখলে কয়েক দিন তাজা থাকবে।
  54. পোস্তকে কম করে দু’ঘন্টা ভিজিয়ে না রেখে বাটলে তার প্রকৃত স্বাদ মেলে না। বাটাও ভাল হয় না।
  55. সরষে অনকে সময় তেঁতো হয়ে যায়। সরষের সংগে কাচা মরিচ, লবন পরিমান মতো নিয়ে মিশিয়ে বাটুন। এই সমস্যা থেকে বাঁচবেন।
  56. আদাবাটায় সরষের তেল মাখিয়ে রাখলে বেশি দিন ভাল থাকে।
  57. শাক-সবজিকে টাটকা রাখতে হলে ভিনেগার বা পাতিলেবুর রস দেওয়া পানিতে ১ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন।
  58. ২/৪ দিনের বাসি, শুকনো, বিবর্ন শাক-সবজিকে ঠান্ডা পানিতে কয়েক ফোঁটা পাতিলেবুর রস দিয়ে ডুবিয়ে রাখার পর কাটবেন, রান্না ভাল হবে।
  59. মাছ মাংস কে ফ্রিজে বেশিদিন রাখতে হলে ভালো করে চেপে পানি বের করে নিয়ে তারপর প্যাকেটে ভরে রাখুন।
  60. আনারস টক হয়ে গেলে চিনি মাখিয়ে ফ্রিজে রেকে পরে খেলে টক লাগবেনা।
  61. রসুনের খোসা চাড়িয়ে ভিনেগার ও লবন মাখিয়ে ফ্রিজে রাখলে ১ বছর ব্যবহার করা যাবে।
  62. সেমাই বেশি দিন ভালো রাখতে হলে লালচে করে ভেজে কৌটায় ভরে রাখতে হবে।
  63. ঘি রাখার শিশিতে এক টুকরো আখের গুড় রাখলে ঘিয়ের গন্ধ বজায় থাকে।
  64. ঘিয়ের শিশিতে এক সৈন্ধব লবন রাখলে ঘি আনেক দিন তাজা থাকে। স্বাদও বজায় থাকে।
  65. সর থেকে ঘি তৈরি করার আগে দুধের সরের বাটিতে ২ চামচ টক দই রেখে তারপর দুধের সর রাখলে পচা গন্ধ হয় না।
  66. খাওয়ার তেলে আট / দশটা গোটা গোল মরিচ ফেলে দিলে তেল বহু দিন অব্যবহৃত থাকলেও ভালো থাকবে।
  67. চিকেন / মাটন সেদ্ধ করে তবেই রান্না করুন। সেদ্ধ করা পানিটা পরিষ্কার বোতলে ভরে ফ্রিজে রাখুন। আক সপ্তাহ পর্যন্ত যে কোনও রান্নায় ঐ পানি ব্যবহার করে চিকেন / মাটন এর টেস্ট আনতে পারবেন।
  68. শুকনো ভুট্টা দানা ১২ ঘন্টা ফ্রিজে রাখার পর ভাজলে পপকর্ন খুব মচমচে হয়।
  69. পটেটো চিপস বাড়িতে বানাতে চাইলে আলুর উপর ময়দা ছড়িয়ে দিলে চিপস খুব মচমুচে হবে।
  70. চানাচুর মচমচে বানাতে চাইলে ’চানা’ কাওয়ার সোডা দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন।
  71. কেক বাড়িতে বানালে অনেক সময় কেক কুব শক্ত হয়ে যায়। কেক কে ওভেনে দেওয়ার আগে মিশ্রণে কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে দিন। কেক নরম হবে।
  72. বিস্কুট বা কেক বের করার পর অনেক সময় দেখা যায় যে কাজু বা বাদাম গুলো কেক বা বিস্কুটের নিচে চলে গেছে। বিস্কুট বা কেক বানানোর আগে কাজু বা বাদাম গুলো দুধে ভিজিয়ে মিশ্রনের ওপর সাজিয়ে দিন। কেক বা বিস্কুট হওয়ার পরও তা ওপরেই থাকবে।

0 Komentar untuk "গৃহীনির দৈনন্দিন সাংসারিক ২০১ টিপস্"

Back To Top